আজকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চর-মরিচাকান্দি বিলপার (উত্তর পাড়া) এক দুঃখজনক ঘটনার সাক্ষী হলো। মোঃ মানিক মিয়া, একজন ভালো মানুষের মৃত্যু বর্ষণের কারণে আমাদের মধ্যে শোকের ছায়া ফেলেছে। প্রচণ্ড বজ্রপাতের কারণে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দুর্ঘটনায় তাঁর পরিবার এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটি গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমরা সবাই জানি, মৃত্যুর পূর্বে মানিক মুন্সির মতো মানুষের জীবন কতটা মূল্যবান ছিল।
মানিক মিয়ার মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবারের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্য একটি বিশাল ক্ষতি। তিনি ছিলেন একজন দয়ালু, সদালাপী এবং সমাজসেবী ব্যক্তি। দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করলেও, মানিক মিয়া কখনোই তার প্রতিবেশীদের সাহায্য করতে কসুর করেননি। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শুধু একজন ব্যক্তি হারাইনি, বরং হারিয়েছি আমাদের একটি মূল্যবোধ, যা আমাদের মধ্যে সংহতি ও সহযোগিতার বোধ জাগ্রত করতো।
বজ্রপাতের ঘটনা আমাদের দেশে সাধারণ হলেও, এটি বরাবরই ভয়াবহ একটি ঘটনা। বজ্রপাতের সময় ঠিক কীভাবে নিরাপদে থাকা যায়, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বজ্রপাতের সময় অনেকেই বাইরে থাকেন এবং সেই অবস্থায় তারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে আমাদের উচিত খুব সতর্ক থাকা এবং কারণগুলো সম্পর্কে অবহিত হওয়া।
মানিক মিয়ার মৃত্যুর সাথে সাথে, তাঁর বড় ছেলে মোঃ হানিফ মিয়াও এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। হানিফের দেহে ক্ষত কিন্তু, তার মনোবল খুবই শক্ত। তিনি জানেন যে, তাঁর বাবা যে শূন্যতা রেখে গেছেন, তা পূরণ করতে হবে। সকলেই প্রার্থনা করছেন, যেন হানিফ দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারেন।
মানিক মিয়ার মৃত্যুর খবরে চর-মরিচাকান্দি বিলপারসহ আশেপাশের এলাকার মানুষজন শোকাহত হয়েছে। স্থানীয় মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের চোখে জল ছিল, মুখে শোকের ছায়া। মানিক মিয়া ছিলেন শুধু একজন ব্যক্তি নয়, তিনি ছিলেন একটি সমাজের রূপকার।
এখন সময় এসেছে স্থানীয় সমাজের সবাইকে একত্রিত হয়ে মানিক মিয়ার পরিবারকে সমর্থন দেওয়ার। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা যদি একসঙ্গে দাঁড়াই, তাহলে আমরা এই কঠিন সময় পার করতে পারবো এবং প্রত্যেকে কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারবে।