ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি শোক প্রকাশ করেন। তারেক রহমান বলেন, “পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবরে আমি ব্যথিত। তিনি এমন একজন আধ্যাত্মিক নেতা ছিলেন, যিনি বিভিন্ন বিশ্বাসের মানুষের কাছে শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা দেওয়ার জন্য নিরলস কাজ করে গেছেন।”
পোপ ফ্রান্সিস, যিনি ২০১৩ সালে পোপের পদবী গ্রহণ করেন, তিনি ছিলেন ক্যাথলিক ধর্মের ২৬৬ তম পোপ। তাঁর আধ্যাত্মিক নেতৃত্বে বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, মানবাধিকার এবং পরিবেশ রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। তিনি সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র এবং নিপীড়িত মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাঁর বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি মানবতার জন্য শান্তির একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, “শক্তিশালী নৈতিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ও বিশ্বাসের মানুষের সম্মান অর্জন করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস।” তাঁর নেতৃত্বে ক্যাথলিক গির্জা আধুনিক সমাজের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবেলা করতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। যেমন, তিনি লিঙ্গ বৈষম্য, যৌন নিপীড়ন এবং ধর্মীয় উগ্রতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
তারেক রহমান পোপের মৃত্যুকে একটি বড় ক্ষতি হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমি বিশ্ব ক্যাথলিক সম্প্রদায় এবং এই বিরাট ক্ষতির জন্য শোকাহত সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।” পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পোপ ফ্রান্সিসের অবদান:
১. মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়:
পোপ ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে গির্জা সামাজিক ন্যায়ের প্রতি মনোযোগ দিয়েছে। তিনি বলেছেন, “সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশের অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।”
২. পরিবেশ সুরক্ষা:
পোপের “লাউদাটো সি” নামক পরিবেশ বিষয়ক এনসাইক্লিকালে তিনি পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য আমাদের দায়িত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
৩. ধর্মীয় সহিষ্ণুতা:
পোপ ফ্রান্সিস বিভিন্ন ধর্মের মানুষের সাথে সংলাপের জন্য পরিচিত। তিনি বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ নয়, বরং আমরা একে অপরকে বুঝে শান্তির পথে এগিয়ে যেতে পারি।”
বিনয়ের বার্তা:
তারেক রহমানের শোক বার্তা শুধু পোপের মৃত্যুতে এক দুঃখ প্রকাশ নয়, বরং একটি সামগ্রিক বার্তা প্রদান করে। তিনি বলেছেন, “পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে আমরা তাঁর দীক্ষাগুলিকে স্মরণ করব এবং আমাদের সমাজে শান্তি ও ভালোবাসার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।”
সমাপ্তি:
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু আমাদের সকলকে ভাবনার সুযোগ দেয়। আমাদের সমাজে তিনি যে মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং মানবতার বার্তা প্রচার করেছেন, তা যেন কখনো মলিন না হয়। তারেক রহমানের শোক বার্তা থেকে আমরা শিখতে পারি যে, আমাদের মাঝে শান্তি ও সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আবশ্যক।
পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরাধিকার আমাদের কাছে একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে, যা আমাদের আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।