সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যা দেশের রাজনৈতিক পর landscape-এ নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ‘সুন্নিদের মার্চ ফর গাঁ*জার’ নামে পরিচিত এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে আসা ২৬ জন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সদস্য আটক হয়েছে। এই ঘটনাটি সামাজিক মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আটককৃত সদস্যদের ছবি প্রকাশিত হয়েছে যারা বিভিন্ন বাসের মাধ্যমে ঢাকায় প্রবেশ করছিলেন। এসব সদস্যের মধ্যে বেশিরভাগই রাউজানের ফজলে করিম চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে। তারা পোস্টেড আওয়ামী লীগ নেতা এবং ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য। আটককৃতদের বিভিন্ন বাস থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছিল, এবং তাদের আটক করা হয় পুলিশের বিশেষ অভিযান চলাকালে।

ছাত্রলীগ, বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন, দীর্ঘ ইতিহাস ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কিছু কার্যকলাপ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ‘সুন্নিদের মার্চ ফর গাঁজার’ একটি বিশেষ আন্দোলনের অংশ, যা ধর্মীয় দলগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। এই আন্দোলন মূলত গাঁজার বৈধতা এবং আর্থিক লাভের জন্য গৃহীত হয়েছে।
বাংলাদেশে গাঁজার ব্যবহার একটি সংবেদনশীল বিষয়। যদিও গাঁজা বৈধ করার দাবি জোরালো হচ্ছে, তবে এর বিরুদ্ধে প্রচুর প্রতিবাদ ও আইনগত কার্যক্রমও রয়েছে। সুতরাং, এই ধরনের আন্দোলনে ছাত্রলীগের সদস্যদের উপস্থিতি প্রায় সকল রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ জনতার মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন ছাত্রলীগের সদস্যরা এই ধরনের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলেন?
ঢাকার প্রতিটি প্রবেশমুখে ছাত্র জনতাকে দিয়ে বাসে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল। যদিও ছাত্রলীগের সদস্যরা আটক হয়েছে, তবে পুলিশের এই অভিযানকে ‘অন্যায়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন অনেকেই। এমনকি অনেক সামাজিক মিডিয়াতেও ব্যাপক আলোচনা চলছে, যেখানে বলা হয়েছে, “আজ যদি প্রতিটি বাসে অভিযান চালানো হয়, তাহলে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ হাজার ছাত্রলীগ সদস্যকে আটক করা সম্ভব হবে।”
‘সুন্নিদের মার্চ ফর গাঁজার’ আন্দোলন বাংলাদেশের যুব সমাজের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। গাঁজা ও এর বৈধতা নিয়ে যারা আলোচনা করছেন, তারা আসলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ইস্যু নিয়ে কথা বলছেন। এটি সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, কারণ যুবসমাজের মধ্যে যেসব কৌশলগত পরিবর্তন ঘটছে, তা সমালোচনার মুখে পড়তে পারে।
সাম্প্রতিক এই ঘটনার মাধ্যমে যে বিষয়গুলো উন্মোচিত হয়েছে, সেগুলো দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক পর landscape-এ নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করছে। ছাত্রলীগের সদস্যদের আটক এবং তাদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে, তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা এবং নৈতিকতার অভাব নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করা হচ্ছে।
মূলত, এই পুরো ঘটনা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, রাজনৈতিক আদর্শ এবং সামাজিক ইস্যুগুলো কখনো কখনো একাধিক দিক থেকে প্রভাবিত করে। আমাদের উচিত এসব বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন হওয়া এবং এর সমাধানে উদ্যোগী হওয়া।
এখন প্রশ্ন হলো, ভবিষ্যতে এসব ঘটনা প্রতিরোধে আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি? রাজনৈতিক দলগুলোকে কি তাদের নীতি এবং কর্মসূচি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত? এ বিতর্কিত ঘটনাগুলো আমাদেরকে জাগ্রত করে এবং একটি উন্নত সমাজ গঠনের পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে।