• শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
Headline
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত। ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আনন্দ মিছিলে দুঃখের সংবাদ। ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আ.লীগের খবর প্রকাশ করলে দুই থেকে সাত বছর শাস্তি হাইকোটে জামিন পেল ডঃ জোবায়দা রহমান সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত নিষিদ্ধ সংগঠনের সাবেক এমপি শিল্পী মমতাজ গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হলেন কৃষিবিদ পলাশ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে পেটাল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হলেন কৃষিবিদ পলাশ

এস এম জনি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি) / ৭৯ Time View
Update : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলকে সভাপতি এবং সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ১৫১ জন নেতাকর্মী।

শুক্রবার (৯ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কমিটি অনুমোদনের কথা জানান।

কমিটির সহ সভাপতি হলেন জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রাধানগর গ্রামের কৃতি সন্তান কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। বর্তমানে তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। উচ্চ শিক্ষায় সুশিক্ষিত এই নেতা বাংলাদেশ কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ ছাড়াও কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আরও কয়েকজন নেতা। এদের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদে আব্দুল খালেক, এ্যাডভোকেট রফিক সিকদার, এ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন জিয়া, মেজর (অব.) সাইদ। এছাড়া সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মহসিন। সদস্য হিসেবে কমিটিতে রয়েছেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি এ কে এম মুসা, বাঞ্ছারামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক সাইদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছালে মুসা, ইঞ্জিনিয়ার কাজী দবিরউদ্দিন, ভিপি দেওয়ান নাজমুল হুদা ও মোস্তফা।

কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মনোনীত হওয়ায় পুরো উপজেলায় নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটছে।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির চরম দুর্দিনে শক্তহাতে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। শতশত নেতাকর্মীদের মামলা মোকদ্দমা থেকে রক্ষা করেছেন। নিজের পকেটের টাকা দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের জেল থেকে জামিন করিয়েছেন। নিজের জীবনের উপর ঝুঁকি নিয়ে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলেন।

আওয়ামী লীগের আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের একটি আলোচনায় তৎকালিন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম আল মামুন সরকার দলীয় ক্যাডারদের নিয়ে কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের উপর অতর্কিত হামলা করেছিলেন। সেদিন কোনমতে নিজের জীবন বাঁচিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া তার নিজ উপজেলা বাঞ্ছারামপুরেও নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছিলেন। মিথ্যা মামলায় জেলও খেটেছেন। এতোকিছুর পরও দলকে শক্তভাবে নেতৃত্ব দিয়ে মাঠ পর্যায়ে ধরে রেখেছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা গা ঢাকা দেন। তৃণমূলের নেতারা তখন অসহায় হয়ে পড়ে। ওই সময় প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান কৃষিবিদ পলাশ। তারপর ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। তখন সিনিয়র নেতাদের অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। আর তখনই বিএনপির আরও কোনঠাসা হয়ে পড়ে। দুঃসময়ের ওই দিনগুলোতে তৃণমূলের নেতারা আরও বিপদে পড়ে যায়। নিজের ব্যবসার আয়ের সমস্ত টাকা পয়সা কর্মীদের মাঝে বিলিয়ে দেন কৃষিবিদ পলাশ। ইতোমধ্যে আরও ৫ বছর পার হয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে। পরে কারচুপির অভিযোগ এনে ওই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আর্থিকভাবে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী চরম দুরবস্থায় পড়ে। ওই সময়ও নিজের সর্বস্ব দিয়ে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন কর্মীবান্ধব নেতা কৃষিবিদ পলাশ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর নানা ঘটনার মধ্যদিয়ে নোবেল বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সারাদেশের মতো বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও গা ঢাকা দেয়। মাঠে অবস্থান নেয় বিএনপি। বিগত সময়ে বলতে গেলে ২০০৮ সালের পর বাঞ্ছারামপুর বিএনপির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতাই সাধারণ কর্মীদের খবর নেয়া তো দূরের কথা, নিজেরা এলাকায়ই আসেনি। তখনও সাধারণ কর্মীদের বুকে আগলে ধরে রেখেছিলেন কৃষিবিদ পলাশ। বর্তমানেও আগের মতোই নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। সাংগঠনিকভাবে দলকে গোছানোর চেষ্টা করছেন। দলের মধ্যে বিভেদ কোন্দল ঘুচিয়ে সকলকে নিয়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সমস্ত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। আগামীদিনে একটি সুন্দর বাঞ্ছারামপুর গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির দুঃসময়ের কাণ্ডারি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ।

Facebook Comments Box


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
bdit.com.bd