আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ের বাৎসরিক হালনাগাদে দুঃসংবাদ পেলো বাংলাদেশ। ওয়ানডে সংস্করণে ৪ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে এক ধাপ অবনতি হয়েছে শান্তদের। ফলে টাইগাররা এখন অবস্থান করছে ১০ নম্বরে।
আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সদস্য দেশগুলোর তিন সংস্করণের র্যাঙ্কিংয়ের বাৎসরিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল ৪ পয়েন্ট হারিয়েছে। তাদের রেটিং পয়েন্ট এখন ৭৬। বাংলাদেশের উপরে উঠে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আগের মতোই নবম স্থানে আছে বাংলাদেশ। সাদা পোশাকে তাদের রেটিং পয়েন্ট ৬২, টি-টোয়েন্টিতে ২২৫।
হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়ে ২০২৪ সালের মে থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ম্যাচগুলোর রেটিংয়ের শতভাগ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আর আগের দুই বছরের ম্যাচগুলোর রেটিংয়ের ৫০ ভাগ হিসাব করা হয়েছে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। গত বছরের শুরু থেকে খেলা ১১ ম্যাচের মাত্র তিনটিতে জিতেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয় আসেনি একটা ম্যাচেও। এর আগে উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটাতেও হয়েছিল ভরাডুবি। ২০২৩ বিশ্বকাপটাও টাইগারদের গেছে লেজেগোবরে অবস্থায়। আর সেটারই প্রতিফলন দেখা গেল আজ আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ের বাৎসরিক হালনাগাদে।
প্রকাশিত ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দুই ফাইনালিস্ট দল। দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। রেটিং পয়েন্ট ১২২ থেকে বাড়িয়ে ১২৪ করে শীর্ষে রোহিত শর্মার দল।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে ছাড়িয়ে গেছে তারা। অস্ট্রেলিয়া এখন তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এরপরের নামটাই শ্রীলঙ্কার। ঘরের মাঠে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় পাঁচ রেটিং পয়েন্ট এনে দিয়েছে লঙ্কানদের।
শ্রীলঙ্কার এই উত্থানে পরের দুটি নাম পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা নিজেদের ফর্মের কারণে ৪ রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে।
র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দিকে চড়েছে আফগানিস্তানও। চার পয়েন্ট বাড়ার কারণে তারা সপ্তম স্থানে। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এক ধাপ নেমে অষ্টম স্থানে।