গত বছরের ২৬ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর দিন চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

ঘটনার ৪ দিন পর আলিফের বাবা ৩১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পাশাপাশি আলিফের ভাই ১১৬ জনকে আসামি আরেকটি মামলা দায়ের করে।

গত রোববার আইনজীবী আলিফ হত্যাসহ নগরীর কোতোয়ালি থানার চারটি মামলা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করে পুলিশ।

কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণ উত্তাল হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

রবর্তীকালে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।